রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের সহিত কাজু বাদ উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতির মতবিনিময় সভা বৃহস্পতিবার বেলা দুপুর ২টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কার্যালয়, রাঙ্গামাটিস্থ কর্ণফুলী সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোার্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, এনডিসি উপস্থিতিতে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল আলম নিজামী (অতিরিক্ত সচিব), পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য প্রশাসন ও সদস্য সচিব জনাব আশীষ কুমার বড়–য়া (যুগ্মসচিব), সদস্য পরিকল্পনা ও সদস্য অর্থ ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী (উপসচিব), সদস্য বাস্তবায়ন মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ (উপসচিব), মোঃ শফিকুল ইসলাম প্রকল্প পরিচালক মিশ্র ফল চাষ প্রকল্প, কাজু বাদাম উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি জনাব মুহাম্মদ হারুণসহ কাজু বাদাম উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতির সদস্যবৃন্দ, জনাব কাইংওয়াই ম্রো গবেষণা কর্মকর্তা, সহকারী সচিব (অ:দা:) মোঃ নুরুজ্জামান এবং বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কাজু বাদাম উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতির সহিত পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাননীয় চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, এনডিসি মতবিনিময় সভায় বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড অত্র এলাকার প্রান্তিক পর্যায়ের জনমানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিনামূল্যে কাজু বাদাম চারা, কফি চারা, মিশ্র ফলজ চারাসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। এসব কৃষি উপকরণ যথাযথভাবে ব্যবহার এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন কৃষিজ চারাগুলো ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। কাজু বাদাম পর্যাপ্ত উৎপাদন হলে বাণ্যিজিকভাবে কাঁচামাল সরবরাহসহ দেশের-বিদেশে কাজু বাদামের চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরো বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী মানুষ খুব পরিশ্রমী। এখানকার পরিশ্রমী মানুষগুলোকে কাজে লাগাতে পারলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রান মান বৃদ্ধি পাবে। স্থানীয় মানুষের জীবন যাত্রাকে ব্যঘাত সৃষ্টি না করে এলাকার উন্নয়নের জন্য সকলকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।
মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, এনডিসি পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষিখাতের বিভিন্ন সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন কৃষিখাতে সাফল্যের বিপ্লব ঘটেছে। একসময় ঢাকা শহরসহ বিভিন্ন শহরগুলোতে আমের দোকানে রাজশাহী আমকে সবাই চিনত। এখন দেশের বিভিন্ন শহরে পার্বত্য চট্টগ্রামের আম্রপালি আমকে চিনে। এছাড়া তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূ-প্রকৃতির অপার সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন।
সমিতির পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বিগত ৩৫ বছর আগে পার্বত্য এলাকায় কাজু বাদাম চারা বিতরণ করেছে। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে কাজু বাদাম চাষের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। কাজু বাদাম অত্র এলাকায় পর্যটন শিল্পপণ্য হিসেবে বেশ চাহিদা রয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষক যাতে উপকৃত হয় সে লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এবং কাজু বাদাম উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতি মধ্যে পার্বত্য এলাকায় কাজু বাদাম উৎপাদনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনাকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কাছে কাজু বাদাম উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতার কথা ব্যক্ত করেন। আলোচনা শেষে কাজু বাদাম উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতির পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড শত শত কোটি টাকা ব্যয় করলেও পাহাড়ে পর্যাটন শিল্প বিকাশে কোন আয়ের উৎস তথা ক্যাবল কার তথা দৃশ্য কিছু বাস্তবায়ন করছে না । করোনা মহামারীতে সরকারী অর্থে অপচয় দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
### চৌধুরী হারুনুর রশীদ,রাঙামাটি।